ল্যাবরেটরির নিরাপদ ব্যবহার

ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত জরুরি কয়েকটি উপকরণ


   ১. এপ্রোন
   ২. নিরাপদ গ্লাস
   ৩. মাস্ক
   ৪. হ্যান্ড গ্লাভস
   ৫. অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র

ল্যাবরেটরিতে উৎপন্ন ক্ষতিকর গ্যাস


  \(NO_2,\;NH_3,\;SO_2,\;H_sS,\;CO_2\)
 

ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় সামগ্রী


টেস্টটিউব, বিকার, ফানেল, কনিক্যাল ফ্লাস্ক, মেজারিং ফ্লাস্ক, মেজারিং সিলিন্ডার, ওয়াশ বোতল, ব্যুরেট, পিপেট, রিয়েজেন্ট বোতল, লিবিগ শীতক, ওয়াচ গ্লাস, স্পিরিট ল্যাম্প।
 

ল্যবরেটরির নিরাপদ ব্যবহার সম্পর্কিত আরও তথ্য


  • ল্যাবরেটরিতে ব্যুরেট পরিষ্কার করার জন্য \(K_2Cr_2O_7\) ও গাঢ় \(H_2SO_4\) -এর দ্রবণ (ক্রোমিক এসিড) ব্যবহার করা হয়।
  • ল্যাবরেটরিতে রাসায়নিক বিশ্লেষণের প্রয়োজনে অল্প পরিমাণ উপাদানের ওজন পরিমাপ করা আবশ্যক। এরূপ ওজন পরিমাপ করার জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তার নাম- পল-বুঙ্গি ব্যালেন্স।
  • পল-বুঙ্গির সাহায্যে 0.0001 g ওজন পর্যন্ত পরিমাপ করা সম্ভব।
  • পল-বুঙ্গি ব্যালেন্স চার অংশে বিভক্ত।
  • আয়তনমিতিক ফ্লাস্ককে স্ট্যান্ডার্ড ফ্লাস্ক বলে।
  • লেবেলিং স্ক্রু এর কাজ হল, নিক্তির সমতা বজায় রাখা।
  • প্রত্যক্ষভাবে ওজন নির্ণয় পদ্ধতি তিন প্রকার।
  • ব্যুরেট হচ্ছে মিলিমিটারে দাগ কাটা নল বিশেষ।
  • পিপেট হচ্ছে কাচ নির্মিত মাঝে মোটা, এক মাথা সরু অন্য প্রান্ত চোখা পাত্র বিশেষ।
  • ১৮৫৫ সালে বুনসেন বার্নার আবিষ্কৃত হয়।
  • দীপ্তিহীন শিখার তাপমাত্রা প্রায় 1830°C ।
  • যে সকল রাসায়নিক দ্রব্য সূর্যলোকে বিয়োজিত হয় সেগুলোকে গাঢ় রঙিন বোতলে রাখা হয়।
  • ল্যাবরেটরিতে রিয়েজেন্ট বোতলকে MSDS ক্রম অনুসারে সাজাতে হবে।
  • রাইডার হলো নির্দিষ্ট জানা ভরের একটি অতিসূক্ষ্ম ধাতব তারের বাকানো টুকরা যা ব্যালেন্সের বীমের উপর দিয়ে চলাচল করতে পারে।
  • চার ডিজিট ব্যালেন্স দিয়ে সর্বনি 0.1mg  ভর নেওয়া যায়।
  • প্রতিটি রাইডারের জন্য নির্দিষ্ট ভরের একটি স্থির সংখ্যাসূচক মান পাওয়া যায় তাকে রাইডার ধ্রুবক বলে।
  • সিলিকা ও বোরন অক্সাইডের সমন্বয়কে ব্যুরোসিলিকেট গ্লাস বলে।
  • 10mg বা 1mL এর কম পরিমাণ রাসায়নিক উপাদানের বিশ্লেষণে মাইক্রো অ্যানালাইসিস ব্যবহৃত হয়।
  • 10mg থেকে 100mg এর কম রাসায়নিক উপাদানের ক্ষেত্রে সেমি মাইক্রো বিশ্লেষণ ব্যবহৃত হয়।
  • বিশ্লেষণ রসায়নের বর্ণালি বিদ্যায় UV, IR, NMR, X-ray, Mass Spectrum প্রভৃতি ক্ষেত্রে মাইক্রো অ্যানালাইসিস পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।
  • ক্রোমোটোগ্রাফি, HPLC, GPLC, X-ray diffraction ইলেকট্রোফোরেসিসে মাইক্রো অ্যানালাইসিস পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।
  • তাপ কমিয়ে কোন পদার্থকে কঠিন অবস্থায় রূপান্তরের প্রক্রিয়াকে অ্যানিলিং প্রক্রিয়া বলে।
  • স্থির তাপমাত্রায় 1.0L দ্রবনে দ্রবীভূত দ্রবের মোল সংখ্যাই হলো দ্রবনের মোলার ঘনমাত্রা বা মোলারিটি।
  • 1000g দ্রাবকে দ্রবীভূত দ্রবের গ্রাম আনবিক ভর বা মোল সংখ্যাকে দ্রবনের মোলালিটি বলে। 
  • মোলারিটি তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল।
  • যে সকল পদার্থ সমূহ বায়ুর উপাদান দ্বারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আক্রান্ত হয় না তাদেরকে প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ বলে। যেমন- \(K_2Cr_2O_7\) , \(Na_2CO_3\) , অক্সালিক এসিড, সাকসিনিক এসিড।
  • যে সকল পদার্থ সমূহ বায়ুর উপাদান দ্বারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আক্রান্ত হয় তাদেরকে সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ বলে। যেমন- \(HCl,\;H_2SO_4,\;KMnO_4\)।
  • \(HNO_3\) ও \(HCl\) এর ১ : ৩ অনুপাতের মিশ্রণকে রাজ অম্ল বলে।
  • ক্ষারযুক্ত পটাসিয়াম মারকিউরিক আয়োডাইডকে নেসলার বিকারক বলে।
  • শরীরে এসিড পড়লে লঘু \(NaHCO_3\) দ্বারা ধুতে হবে।
  • \(NaHCO_3\) পানিতে মিশে পানির pH মানের বৃদ্ধি ঘটায়।
  • ক্লোরোফরম পানিতে দ্রবীভূত হয়ে পানিতে উপস্থিত সূক্ষ্ম অণুজীব ধ্বংস করে ফলে DO, BOD ও COD এর ভারসাম্য বিনষ্ট হয়।
  • ক্ষয়কারী পদার্থের pH 2.5 এর চেয়ে কম ও 12.5 এর চেয়ে বেশি হয়।
  • বোরাক্স এর সংকেত- \(Na_2B_4O_7.10H_2O\)